ফাইলের সহজ নিরাপত্তা
আপনার কম্পিউটারের ফাইলটি আর কেউ খুলতে পারবে না, এমন ব্যবস্থা অনেকেই রাখতে চান। উইন্ডোজের সহজ একটা পদ্ধতি আছে।
- প্রথমে Start>Settings>Control Panel>Appearance and Themes>Folder Options-এ ক্লিক করুন।
অথবা
মেনুবারের Tools>Folder Options-এ ক্লিক করুন।
- এবার Folder Options ডায়ালগ বক্স আসবে। উক্ত ডায়ালগ বক্সের View ট্যাবে ক্লিক করুন।
- এখানে Hide Extensions For Known File Types থেকে টিক চিহ্ন উঠিয়ে দিন।
- এবার আপনার ফাইলটি সিলেক্ট করে F2 চাপুন।
- তারপর শেষের তিনটি অক্ষর ( যেমন .mp3 ) পরিবর্তন করে অন্য কিছু দিন ( যেমন . BLL ).
- এবার ফাইলটি ক্লিক করলেও খুলবে না।
- ফাইলটি খুলতে চাইলে যে প্রোগ্রামে ফাইলটি চলে সেটি খুলে File মেনু থেকে Open-এ ক্লিক করে ফাইলটি খুলুন।
এক্সটেনশন পরিবর্তন করে ফাইল সুরক্ষা
ধরা যাক, আপনার কাছে bng.mp3 নামে একটি এমপি থ্রি ফাইল আছে। আপনি একে নিরাপদ রাখতে চান। আপনাকে যে কাজটি করতে হবে তা হলো-
- ফাইলটিকে সিলেক্ট করে Rename করা। ফাইলটিকে Rename করে এর নাম দিন sng1.dll. এবার ৯৫% নিশ্চিত থাকতে পারেন ফাইলটি কেউ ছুঁয়েও দেখবে না।
- আবার আপনি যখন ফাইলটি ব্যবহার করবেন তখন উইনঅ্যাম্প চালিয়ে ফাইলটি খুলতে পারেন। তবে সে জন্য File Types ড্রপ ডাউন লিস্ট বক্স থেকে All Files সিলেক্ট করতে হবে।
- তবে সবচেয়ে সহজ হলো ফাইলটিকে আবার Rename করে dll-এর জায়গায় mp3 করে দেওয়া। কারণ এবার ডাবল ক্লিকেই ফাইলটি চালু হবে।
- এভাবে শুধু এমপি থ্রি নয় বরং যেকোনো এক্সটেনশন যুক্ত ফাইলকে উদ্ভট সব এক্সটেনশন দিয়ে রেখে দিতে পারেন। ইচ্ছে হলে নিজের
নামকেও ব্যবহার করতে পারেন।
- এতে কেউ সহসা ফাইলটিকে আর খুলতে পারবে না। কারণ *.mp3 এক্সটেনশনের ফাইলকে আপনি যদি *.jpg দিয়ে পরিবর্তন করেন, তবে ফাইলটির কোনো ক্ষতি না হলেও jpg এক্সটেনশনটি যে সব সফটওয়্যারের সামঞ্জস্যপূর্ণ (যেমন হতে পারে এসিডিসি) সেসব সফট- ওয়্যার চালিয়ে ফাইলটি খুলতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে যেহেতু ফাইলটি *.jpg ফাইল নয়, কাজেই এরর দেখাবে এবং অন্য কেউ ধরে নিবে ফাইলটিতে কোনো সমস্যা আছে
এনক্রিপশন করে গোপনীয় তথ্য সংরক্ষণ
প্রায়ই বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন পরে গোপনীয় তথ্য সংরক্ষণ করার, এই তথ্য হতে পারে পার্সোনাল ডায়েরী, ই-মেইল, মেসেজ, অফিসের অত্যমত্ম গোপনীয় কোন ফাইল, যা-ই হোক না কেন, আপনার কম্পিউটার যদি অনেকেই শেয়ার করে অথবা আপনি যদি পোর্টেবল পিসি (ল্যাপটপ) ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই প্রয়োজন হবে সেটিকে নিরাপদ রাখা। আর এই কাজের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পদ্ধতি হলো উক্ত ফাইলসমূহকে Encrypt করে রাখা। DB‡ÛvR
এক্সপি প্রফেশনাল ব্যবহারকারীদের হাতে রয়েছে ফাইল সিস্টেমকে এনক্রিপ্ট করার সুযোগ। কিন্তু এটি শুধু NTFS ভলিউমের জন্য প্রযোজ্য। আপনার ইউজার একাউন্টে ইউজার নেইম ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে, লগ-ইন করেই এটাতে প্রবেশ করা যাবে। এক্ষেত্রে-
1. কোনো ফোল্ডারকে এনক্রিপ্ট করতে চাইলে, সেটাতে রাইট ক্লিক করে Properties সিলেক্ট করুন। পর্দায় Properties উইন্ডো আসবে।
2. এবার উক্ত উইন্ডোর General ট্যাবে ক্লিক করে Advanced বাটনে ক্লিক করুন। পর্দায় Advanced Attributes উইন্ডো আসবে।
3. এরপর উক্ত উইন্ডোর Compress or Encrypt attributes-এর নিচে Encrypt contents to secure data অপশনটির বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে OK করুন।
4. এবার প্রদর্শিত Properties উইন্ডোর Apply বাটনে ক্লিক করম্নন। পর্দায় Confirm Attribute Changes উইন্ডা আসবে।
5. উক্ত উইন্ডোর Apply changes to this folder, subfolders and files অপশনের ডান পাশে রেডিও বাটনে ক্লিক করে OK করম্নন। Encryption Process শুরম্ন হবে এবং সব আইটেম এনক্রিপ্টেড হয়ে যাবে।
6. আর অন্য অপশনটা বেছে নিলে এখন থেকে যেকোনো ফাইল ও ফোল্ডার তৈরি করা হবে শুধু সেসবই এনক্রিপ্টেড হবে। কোনো ফাইলকে এনক্রিপ্ট করার ক্ষেত্রে পদ্ধতিটি প্রায় একই রকমের। তবে সেক্ষেত্রে ভিন্ন ধরনের ডায়ালগ বক্স আসবে। এখানে আপনাকে বেছে নিতে হবে Encript the file and the parent folder অথবা Encript the file only.
7. প্রথম দৃষ্টিতে এনক্রিপ্ট করা কোনো আইটেমের চেহারা দেখতে মাই কম্পিউটারের অন্য কোনো ফাইল বা ফোল্ডারের মতোই মনে হবে। সৌভাগ্যবশত, এখানে এমন একটা সেটিং আছে যার মাধ্যমে আপনি প্রথম দৃষ্টিতেই বুঝতে পারবেন যে, কোনো আইটেম এনক্রিপ্ট করা আছে কি না। এনক্রিপ্ট করা ফাইল-ফোল্ডার দেখার জন্য-
8. My Computer>Tools>Folder Options-এ ক্লিক করে View ট্যাবে যান।
9. Advanced Settings:-এর নিচে স্ক্রল করে Show encripted or Compressed NTFS files in color অপশনটি চেক করুন।
10. এরপর Apply-এ ক্লিক করে OK করুন।
11. এবার লক্ষ্য করুন, রঙের পরিবর্তনটি।
নোট: আপনি যদি উইন্ডোজ এক্সপির হোম সংস্করণ ব্যবহারকারী হন, তাহলে আপনার হার্ডডিস্কের আইটেমকে এনক্রিপ্ট করার জন্য তৃতীয় পক্ষের একটা ইউটিলিটি সংগ্রহ করতে হবে। ফ্রি-ওয়্যার হিসাবে http://www.cypherix. co.uk/ থেকে ক্রিপ্টেইনার এলই (Cryptainer LE) অথবা http://www. bytefusion.com/ থেকে সেকএক্সফাইলহোম (SecExFileHome) ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
শেয়ার ফাইল ও ফোল্ডারের জন্য পারমিশন সেট করা
আপনার কম্পিউটারে যদি একাধিক ব্যবহারকারী থেকে থাকে, তাহলে আপনি প্রত্যেকের জন্য ফাইল-ফোল্ডারে কতটা প্রবেশাধিকার থাকবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। যেমন- কোন একটা আইটেমে কারো জন্য পূর্ণ প্রবেশ, আবার কারো জন্য রিড অনলি নির্ধারণ। আপনার সিস্টেমে উইন্ডোজ এক্সপি ইনস্টল করা থাকলে এবং হার্ডডিস্ক NTFS ফরমেট হলে ফাইল ও ফোল্ডারকে একাধিক- ভাবে শেয়ার করা যায়। উইন্ডোজ এক্সপি প্রফেশনালে আপনি ফোল্ডারকে নির্দিষ্ট ইউজার বা গ্রম্নপের মধ্যে পারমিশন সেট করতে পারেন। এ কাজের জন্য আপনাকে প্রথমে ডিফল্ট সেটিং পরিবর্তন করতে হরে অর্থাৎ Use simple file sharing অপশন বন্ধ করে দিতে হবে। সেটিং পরিবর্তনের জন্য নিচে বর্ণিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে-
- প্রথমে Start থেকে Settings/Control Panel ওপেন করম্নন। পর্দায় Control Panel উইন্ডো আসবে।
- উক্ত উইন্ডোর মেনুবারের Tools মেনুতে ক্লিক করে Folder Options ক্লিক করম্নন। পর্দায় Folder Options উইন্ডো আসবে।
অথবা
My Computer ওপেন করে Tools মেনু থেকে Folder Options এ ক্লিক করম্নন। পর্দায় Folder Options উইন্ডো আসবে।
- এবার উক্ত উইন্ডোর View ট্যাবে ক্লিক করে Advanced settings: এর নিচে Scroll করে Use simple file sharing (Recomm- ended)-এর চেক বক্সে টিক চিহ্ন তুলে দিন।
- এবার অনুমতি সেটিংয়ের জন্য ফাইল-ফোল্ডারে মাউসের ডানে বাটনে ক্লিক করে Properties-এ ক্লিক করম্নন। পর্দায় প্রোপার্টিস ডায়ালগ বক্স আসবে।
- উক্ত ডায়ালগ বক্সের Security ট্যাবে ক্লিক করলে আপনি আপনার কম্পিউটারের সকল ব্যবহারকারীদের একটি তালিকা দেখতে পাবেন। এছাড়াও থাকবে বিভিন্ন মাত্রায় প্রবেশাধিকার নির্ধারন করার অপশন।
- এবার নির্দিষ্ট ইউজারের জন্য পারমিশন অ্যাসাইন করম্নন, যেমন- Full Control, Modity, Read, Write ইত্যাদি।
বি:দ্র: আপনার যদি উইন্ডোজ এক্সপি হোম এডিশন হয়, তাহলে Safe Mode-এ রিবুট করে এডমিনিস্ট্রেটর হিসাবে লগ-ইন করম্নন। তারপর আপনি এসব সিকিউরিটি সেটিংয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
- এরপর Apply এবং OK করম্নন।
- শুধুমাত্র NTFS ফরমেট করা ড্রাইভের ফাইল-ফোল্ডারে পারমিশন সেট করতে পারেন।
নোট: আপনার ফাইল সিস্টেম যদি FAT বা FAT32 হয়ে থাকে তবে তাকে NTFS ফাইল সিস্টেমে কনভার্ট করে নিন। আপনি নতুন এই ফাইল সিস্টেমের ফাইল-ফোল্ডার পারমিশন, এনক্রিশন, প্রাইভেসি অপশনসহ নানা সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন। মাই কম্পিউটার আইকনে ক্লিক করে C:\ ড্রাইভে ডান বাটন ক্লিক করে Properties নির্বাচন করম্নন। General ট্যাবে জেনে যাবেন আপনার ফাইল সিস্টেমের ধরন। ফাইল সিস্টেম রূপামত্মরটা খুবই সোজা। এতে বিদ্যমান কোন তথ্য হারানোর কোন ভয় নেই। এটা করার জন্য-
1. Start মেনু থেকে Run-এ গিয়ে cmd লিখে OK করম্নন।
2. এবার কমান্ড প্রম্পটে টাইপ করম্নন convert c:/fs:ntfs এবং এন্টার চাপ দিন (ধরে নিচ্ছি আপনি আপনার C:\ ড্রাইভকে রূপামত্মর করতে চাচ্ছেন)।
3. সংগে সংগেই রূপামত্মরের কাজটি শুরম্ন হবে না বরং একটা ম্যাসেস আসবে এরকম- পরের বারে রিস্টার্ট করার সময়ে এই কাজটি সম্পাদিত হবে।
4. রিবুট করলে, চেক ডিস্ক ইউটিলিটি চালু হবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে রূপামত্মরও শুরম্ন হবে।
উইন্ডোজ ফাইলে পাসওয়ার্ড
কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা সফটওয়্যার দিয়ে তার গোপন ফাইলগুলো পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখতে পারেন। যাতে অন্য কেউ ফাইল গুলো খুলতে না পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, উইন্ডোজ ৯৮ অপারেটিং সিষ্টেমে পাসওয়ার্ড দিলে সেই ফাইল এক্সপিতে খুলে যায়। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা বলে কিছু থাকে না। আশার কথা হচ্ছে উইন্ডোজ ২০০০এবং উইন্ডোজ এক্সপিতে ফাইলকে নিরাপদ রাখার নিজস্ব ব্যবস্থা আছে। কারিগরি ভাষায় একে ফাইল এনক্রিপশন বলে। এতে একটি ফাইল বা ফোল্ডার এনক্রিপ্ট করার সময় স্বয়ংক্রিয় ভাবে এর সংগে একটি ডিজিটাল সনদপত্রও হয়ে যায়। ফাইল এনক্রিপ্ট করার জন্য হার্ডডিস্ক ড্রাইভের ফাইল সিষ্টেম এনটিএফএস-এ পরিবর্তন করতে হবে। খুব সহজেই ফ্যাট ১৬ বা ফ্যাট ৩২ ফাইল সিস্টেমকে এনটিএফএস-এ (NTFS ) পরিবর্তন করা যায়। এজন্য-
1. স্টার্ট মেনু থেকে Programme>Accessories-এ গিয়ে Wm খুলুন।
2. এখানে C:\Windows>Convert>Drive Letter>/FS:NTFS লেখা থেকে এন্টার করুন।
3. ড্রাইভ লেটারের জায়গায় যে ড্রাইভটি এনটিএফএস-এ পরিবর্তন করতে চান সেটির ড্রাইভের নাম দিন। অবশ্যই ফাইল সিস্টেম বদলানোর আগে ঐ ড্রাইভে থাকা তথ্যগুলোর কপি ( ব্যাকআপ ) নিয়ে রাখবেন। উইন্ডোজ ইনস্টলের সময়ও ড্রাইভকে ফরম্যাট করে NTFS-এ পরিবর্তন করা যায়।
4. যে ফাইল বা ফোল্ডারে নিরাপত্তামূলক পাসওয়ার্ড দিতে চান সেটিকে এনটিএফএস ড্রাইভে নিয়ে এসে নির্বাচন করে মাউসের ডান বাটনে ক্লিক করুন।
5. এবার প্রোপার্টিজে ক্লিক করুন। প্রোপার্টিজ উইজার্ড খুললে জেনারেল ট্যাবে ক্লিক করে অ্যাডভান্স বাটনে ক্লিক করুন।
6. নতুন উইজার্ডের Encrypt Contents to secure data নির্বাচন করে OK করুন। জিপ-ফাইল এনক্রিপ্ট করতে চাইলে প্রথমে আনজিপ করে নিতে হবে।
7. এনক্রিপশনের সময় পুরো প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল সার্টিফিকেট ফাইলের সংগে যুক্ত হয়। তাই ডিজিটাল ফাইলের একটি কপি রাখা উচিত। ডিজিটাল সার্টিফিকেটের কপি ব্যবহার করে ফাইলে ঢোকা যায়। এর কপি তৈরি করার জন্য-
8. ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার খুলে Tools মেনু থেকে Internet Options নির্বাচন করুন।
9. কন্ট্রোল ট্যাব থেকে সার্টিফিকেট বাটনে ক্লিক করে পারসোনাল ট্যাবে ক্লিক করুন।
10. এবার সার্টিফিকেট সিস্টেম থেকে একটি সার্টিফিকেট নির্বাচন করে সার্টিফিকেট এক্সপোর্ট উইজার্ড খুলুন এবং Yes export the private key নির্বাচন করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
11. এরপর Enable Strong Protection-এ ক্লিক করে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। এখানে পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
12. দুইবার পাসওয়ার্ড লিখে ফাইল সংরক্ষনের জন্য স্থান বলে দিন। ফাইল সংরক্ষনের জন্য যেস্থান ঠিক করে দিয়েছেন সেখানে একটি ডিজিটাল সার্টিফিকেট ফাইল পাওয়া যাবে।
13. এ ফাইলটি অন্য কম্পিউটারে ব্যবহার করতে চাইলে সেটিতে এ ফাইল- কে নিয়ে (ইমপোর্ট) যেতে হবে। উইন্ডোজের এই ফাইল এনক্রিপশন সুবিধা সম্পূর্ণ নিরাপদ।
পাসওয়ার্ড দিয়ে ফোল্ডার রাখুন
অনেক সময় বিভিন্ন গুরম্নত্বপূর্ণ ফোল্ডার পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে রাখার প্রয়োজন পড়ে। উইন্ডোজ এক্সপিতে ফোল্ডার পাসওয়ার্ড দেওয়ার জন্য অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। এগুলোর নানা সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও রয়েছে অনেক। Winrar নামের একটি সফটওয়্যার ফোল্ডার পাসওয়ার্ড দেওয়ার অনেক কম সমস্যা তৈরি করে। আপনি কোন ফোল্ডারে পাসওয়ার্ড দিতে চাইলে এ সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। Winrar সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে চাইলে-
1. প্রথমে www.download.com/Winrar/3000-2250_4-10007677.html এই ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন।
2. এবার আপনি যে ফোল্ডারটিতে পাসওয়ার্ড দিতে চাইছেন, সেই ফোল্ডারের উপর মাউসের ডান বাটন ক্লিক করে Add to archive-এ ক্লিক করম্নন।
3. এরপর Advanced ট্যাব থেকে Set Password-এ ক্লিক করে আপনার পছন্দের পাসওয়ার্ড টাইপ করে OK তে ক্লিক করম্নন।
4. এরপর দেখবেন আপনার ফোল্ডারটির আরেকটি আর্কাইভ ফোল্ডার তৈরি হয়েছে।
5. এবার আপনি চাইলে মূল ফোল্ডারটি Shift চেপে একেবারে Delete করে দিতে পারেন।
6. এরপর আর্কাইভ ফোল্ডারটি খুলতে চাইলে পাসওয়ার্ড দিয়ে Extrsct করে নিন।
Fake Folder ব্যবহার করে ফোল্ডারের নিরাপত্তা
কম্পিউটারের একাধিক ইউজার থাকলে অনেক সময় কোন বিশেষ বা ব্যক্তিগত ফোল্ডারের নিরাপত্তা নিয়ে বিব্রত হতে হয়। এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে ফোল্ডারটি লক করে রাখা যায়। Fake Folder সফটওয়্যারটির সাহায্যে এই কাজটি করা যায়। এ জন্য-
1. Fake Folder ইনস্টল করার পর আপনাকে একটি নির্দিষ্ট কোড বা পাসওয়ার্ড সেট করতে হবে। এই পাসওয়ার্ডটির মাধ্যমে আপনি যেকোন ফোল্ডারকে নিরাপদে লক করতে পারবেন এবং কোড বা পাসওয়ার্ড ছাড়া অন্য কেউ এ ফোল্ডারটি খুলতে পারবে না।
2. এবার Start মেনু থেকে Open-এ ক্লিক করম্নন।
3. Fake Folder/টাইপ করম্নন।
4. সঠিক পাসওয়ার্ড/সিলেক্ট করম্নন-ফোল্ডার/Click ‘Protect’।
5. এবার ফোল্ডারটি কন্ট্রোল প্যানেলে পরিণত হবে।
6. এবার একই পদ্ধতিতে গিয়ে ক্লিক করতে হবে ‘Unprotect’, তাহলে ফোল্ডারটি খোলা যাবে।
উইন্ডোজ ফোল্ডারের পাসওয়ার্ড দিন
উইন্ডোজের বিশেষ সুবিধা ব্যবহার করে বিভিন্ন ফোল্ডারে পাসওয়ার্ড দেয়া যায়। এজন্য-
- প্রথমে ডসে যেতে হবে (Start>Programs>MS Dos Prompt).
- যে ড্রাইভে আপনার ফোল্ডারটি আছে সেই ড্রাইভে যান।
- যদি D:\ ড্রাইভে হয় তবে D:\ লিখে এন্টার দিন।
- এবার লিখুন ren ( ফোল্ডারের নাম ) Alt+178 চেপে এন্টার করুন।
- এর পাসওয়ার্ড তুলে দেওয়ার জন্য আবার ডসে যেতে হবে।