যদি আপনার কম্পিউটার এ উইন্ডোজ সেভেন থাকে তাহলে আপনি এর সমন্ধে অনেক কিছুই জেনে গেছেন। আর যদি নাও থাকে, তবুও সমস্যা নেই। মাইক্রোসফট মাঝে উইন্ডোজ ভিস্তার দোদুল্যমান অবস্থা থেকে অনেকটা ভারসাম্য ফিরে পেয়েছে উইন্ডোজ সেভেন এর বদৌলতে। ভিস্তার অনেক সমস্যা কাটিয়ে তুলনামুলক সহজ ও নতুন চেহারা আর উন্নতত্র নিরাপত্তা নিয়ে এসেছে এই নতুন উইন্ডোজ। বিদ্যমান সকল ফিচার সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারলে মনের মত পারফরমেন্স পাওয়া সম্ভব। উইন্ডোজ সেভেন এর কিছু টিপস আর ট্রিক্স নিয়ে এই ফিচার। এই টিপস গুলো হয়তো আপনি আগেই জেনে গেছেন, তবুও আর একবার দেখে নিন।
১. অতিরিক্ত সকল কিছু কে বাদ দিনঃ
এমন অনেক সফটওয়ার উইন্ডোজ এর সাথে ইন্সটল হয়ে থাকে যা হয়তো আপনার কখনই কাজে লাগবে না। আবার এমনও কিছু সফটওয়ার থেকে যায় যা আপনি হয়ত কখনও ইন্সটল করেছিলেন, আর প্রয়োজন নেই। এমন সব প্রোগ্রাম গুলো আনইন্সটল করুন Control Panel -> Program and Features থেকে। আর উইন্ডোজ এর অপ্রয়োজনীয় Features বন্ধ করতে পারবেন Control Panel -> Program and Features -> Turn Windows Features On or OFF থেকে।
২. স্টাটআপ এর ভার কমানঃ
অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম উইন্ডোজ বুটিং এর সময় লোড হয়, যারা মুল্যবান র্যাম এবং প্রসেসিং ক্ষমতা নস্ট করে। স্টাটআপ থেকে এদের সরিয়ে দিলে মুল্যাবান বুটিং সময় কমবে। Start বাটনের Search এ গিয়ে টাইপ করুন MSCONFIG এবং রান করুন। System Configuration এর Startup ট্যাব থেকে অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ডিজেবলড করে দিন।
তবে আপনার হার্ডওয়ার অথবা সিকিউরিটি সম্পর্কিত Item গুলো ডিজেবল করবেন না। অচেনা কিছু থাকলে আইটেম এর নাম ধরে ইন্টারনেট এ অনুসন্ধান করে দেখতে পারেন এটা আসলে কি।
৩. অতিরিক্ত র্যাম যোগ করুনঃ
যদিও উইন্ডোজ ভিসতা এর মত রিসোর্স হাঙ্গরি না সেভেন, তবুও আপনি যদি উইন্ডোজ এক্সপি থেকে সেভেন এ মাইগ্রেট করেন, অতিরিক্ত কিছু র্যাম যোগ করাটা উইন্ডোজ ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ যোগাবে।
৪. সার্চ ইন্ডেক্সিং বন্ধ করুনঃ
যদি আপনি আপনার কম্পিউটার এ অনেক নিয়মিত ফাইল ফোল্ডার খুজাখুজি করেন, তাহলে এটা একটা প্রয়োজনীয় টুল। কিন্তু যদি খুব নিয়মিত সার্চ করার দরকার না হয় সার্চ ইন্ডেক্সিং বন্ধ করে দিতে পারেন। আপনাকে যেতে হবে Control Panel -> Indexing Options, এখান থেকে যে যে লোকেশন গুলো Indexing হচ্ছে তা দেখে Remove করে দিতে হবে। আর Search Indexing সার্ভিস বন্ধ করতে হলে চলে যান Start -> Run -> Services.msc, এখানে Windows Search নামক সার্ভিসটির প্রপার্টিজ থেকে একে Disabled করে দিন।
৫. ডিফ্রাগ করুনঃ
উইন্ডোজ সেভেন এর নিজস্ব Disk Defragmenter নির্দিস্ট সময় পরপরে (Scheduled) ডিফ্রাগমেন্ট করে থাকে। কিন্তু যদি কম্পিউটার বন্ধ থাকে তবে এই Schedule কাজ করে না। তাই একে ঠিক করে এমন এক সময়ে দিন যাতে সে নির্দিস্ট সময় পরপরে চলতে পারে। অথবা Schedule বন্ধ করে মাঝে মাঝে ডিফ্রাগ চালালেও কাজ চলবে। Disk Defragmenter চালাতে বা এর কোনো সেটিংস পরিবর্ত্ন করতে চাইলে Start বাটনের Search এ গিয়ে Defragment লিখে Enter চাপুন।
৬. পাওয়ার সেটিংস পরিবর্তন করুনঃ
ডিফল্ট হিসাবে সেভেন এর পাওয়ার প্লান Balanced এ সেট করা থাকে। control Panel -> System and Security -> Power Options থেকে পাওয়ার প্লান High Performance এ সেট করে দিলে ভাল পারফরমেন্স পাবেন। তবে এই প্লান ব্যবহার করলে বিদ্যুত একটু বেশি খরচ হবে।
৭. ডিস্ক ক্লিন করুনঃ
Start বাটনের Search এ গিয়ে cleanup লিখে Enter চাপুন। Disk cleanup রান করলে ড্রাইভ নির্বাচন করে OK দিন। নির্বাচিত ড্রাইভ এর মুছে ফেলার জন্য নিরাপদ এমন ফাইল এর তথ্য দেখাবে। এগুলো নির্বাচন করে মুছে ফেলুন।
৮. ভাইরাস স্পাইওয়ার থেকে মুক্ত থাকুনঃ
ভাইরাস স্পাইওয়ার থেকে মুক্ত থাকতে উইন্ডোজ সেভেন এর Windows Defender ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া অন্য কোনো ভাল এন্টিভাইরাস বা এন্টিস্পাইওয়ার ও ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তবে কখনই একসাথে একাধিক এন্টিভাইরাস বা এন্টিস্পাইওয়ার ব্যবহার করবেন না এবং এন্টিভাইরাস বা এন্টিস্পাইওয়ার কে সবসময় হালনাগাদ রাখবেন। ইন্টারনেট থেকে নামান কোনো ফাইল ছোট এবং সন্দেহজনক হলে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য www.virustotal.com এ আপলোড করে দেখে নিতে পারেন কোনো ভাইরাস আছে কি না।
৯.পারফরমেন্স ট্রাবলসুটার ব্যবহার করুনঃ
Control Panel -> System and Security -> Troubleshooting তে যান এবং Check Performance Issue রান করান। যদি পারফরমেন্স সংক্রান্ত কোনো ধরনের সমস্যা খুজে পায়, তবে তা উল্লেখ করবে এবং সমাধানের রাস্তা বলে দেবে।
১০. ডেক্সটপ ওয়ালপেপার বন্ধ করুনঃ
ডেক্সটপে ওয়ালপেপার এর বদলে সলিড কালার ব্যবহার করলে কিছু অতিরিক্ত র্যাম ফ্রি হবে এবং ডেক্সটপ পারফরমেন্স বারবে। ওয়ালপেপার পরিবর্তন করতে ডেক্সটপ এ ডান ক্লিক করে Personalize থেকে desktop Backgroud সিলেক্ট করে Solid Colors সিলেক্ট করুন।
১১. এ্যারো ইফেক্ট বন্ধ করুনঃ
Control Panel -> Performance Information and Tools -> Adjust Visual Effects রান করান। যদি কম্পিউটার এর পারফরমেন্স মূখ্য হয় আপনার কাছে, তবে সিলেক্ট করুন Adjust for best performance. আর যদি কাস্টোমাইজ করার ধৈর্য থাকে তবে ডেক্সটপ এর এ্যারো ইফেক্ট গুলকে দেখে দেখে পরিবর্তন করুন। সতর্কবানী- Adjust for best performance সিলেক্ট করলে Visualization এর দিক থেকে উইন্ডোজ ২০০০ এর সমান হয়ে যাবেন।
১২. টাস্কবার সরিয়ে নিনঃ
উইন্ডোজ ভিসতা এবং সেভেন এ টাস্কবার সরিয়ে নিয়ে যেকোনো পার্শ্বে রাখা যায়। টাস্কবারে ডান ক্লিক করে Lock the Taskbar তুলে দিন। তারপর টাস্কবারে ক্লিক করে ধরে ডেক্সটপের যেকোনো পার্শ্বে নিয়ে যান।
১৩. টাস্কবারে পিন করুনঃ
দ্রুত ব্যবহারের জন্যে প্রয়োজনীয় যেকোনো ফোল্ডার বা প্রোগ্রাম টাস্কবারে পিন করুন। পিন করতে ফোল্ডার বা প্রোগ্রামটি ধরে টাস্কবারের ফাকা যায়গায় এনে ছেড়ে দিন।
১৪. নোটিফিকেশন পরিবর্তন করুনঃ
যদি কম্পিউটারের সকল নোটিফিকেশন দেখতে চান, তবে control panel -> Notification Area Icons থেকে Always Show all icons and notifications on the taskbar সিলেক্ট করুন। আর অন্য কিছু চাইলে প্রোগ্রাম ধরে ধরে পরিবর্তন করে নিন।
১৫. টাস্কবারে সিস্টেম আইকন বন্ধ করুনঃ
টাস্কবারে সিস্টেম আইকন বন্ধ করতে Control panel -> Notification Area Icons -> Turn System Icons On or Off এ যান এবং চালু অথবা বন্ধ করুন আপনার যেটা যেটা পছন্দ। তবে আইকন বন্ধ করে দেয়া মানে কিন্ত প্রোগ্রাম বন্ধ করা নয়।
১৬. ইউজার একাউন্ট কন্ট্রোল পরিবর্তন করুনঃ
প্রতিবার কোনো সফটওয়্যার ইন্সটল করার সময় বা কোনো এডমিনিসট্রিটিভ কাজ করার সময় উইন্ডোজ সেভেন অনুমতি চায়। আপনি চাইলে এই নোটিফিকেশন বন্ধ করতে পারেন। Control panel -> User Accounts এ যান। আপনার user সিলেক্ট করুন। এখানে Change user account control settings এ ক্লিক করুন। পছন্দমত Notification Level নির্বাচন করুন।
১৭. ওয়ার্কগ্রুপ পরিবর্তন করুনঃ
উইন্ডোজ সেভেন এ ওয়ার্কগ্রুপ হিসাবে workgroup ডিফল্ট বসানো থাকে। আপনি যখন LAN এর মাধ্যমে Internet এ যুক্ত থাকেন, তখন একই ওয়ার্কগ্রুপে থাকা সব কম্পিউটার আপনার শেয়ার গুলো দেখতে পারবে। Control panel -> System Properties থেকে আপনি আপনার ওয়ার্কগ্রুপ পরিবর্তন করতে পারেন।
১৮. লাইব্রেরি সেট করুনঃ
লাইব্রেরি হচ্ছে একটি ফোল্ডার যেটি বিভিন্ন ফোল্ডার এর বস্তুগুলোকে বিষয় অনুযায়ী সাজিয়ে প্রদর্শন করে। কোনো ফোল্ডার লাইব্রেরিতে যুক্ত করতে চাইলে ফোল্ডার এ ডান ক্লিক করে Include in library সিলেক্ট করুন এবং ধরন ঠিক করে দিন কি ধরনের বিষয়বস্তু রয়েছে সেই ফোল্ডারে। বিষয়বস্তু ৪ ধরনের হতে পারে, ডকুমেন্ট, মিউজিক, পিকচার ও ভিডিও।
১৯. অটোপ্লে পরিবর্তন করুনঃ
যেকোনো ডিস্ক বা ড্রাইভ আপনার কম্পিউটারে যুক্ত হলেই উইন্ডোজ আপনাকে সেই ডিস্ক বা ড্রাইভ সম্পর্কিত বিভিন্ন action প্রদর্শন করে। আপনি এই আচরন নিয়ন্ত্রন করতে পারেন Control Panel -> Hardware and Sound -> AutoPlay থেকে। দ্রুত এই সেটিংস রান করান যাবে Start বাটনের Search এ গিয়ে AutoPlay লিখে Enter চাপলে।
২০. অ্যপ্লিকেশনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করুনঃ
আপনার কম্পিউটারে কোন অ্যপ্লিকেশন কোথা থেকে কিভাবে চলবে তা নিয়ন্ত্রন করতে পারেন উইন্ডোজ সেভেন এর AppLocker ফিচার ব্যবহার করে। AppLocker ব্যবহার করতে হলে আপনাকে যেতে হবে Local group Policy Editor এ (রান মেনু থেকে gpedit.msc লিখে Enter চাপুন)। Local group Policy Editor এ নেভিগেট করে AppLocker সিলেক্ট করুন (computer configuration -> Windows Settings -> Security Settings -> Application Control Policies -> AppLocker)। AppLocker থেকে আপনি Executable rule, windows installer rule এবং script rule থেকে আপনি আপনার rules গুলো সেট করে দিতে পারেন। Configure AppLocker থেকে rules গুলো একটিভ করতে হবে। নতুন rules তৈরি করার জন্য rules ফোল্ডার এ ফাকা জায়গায় ডান ক্লিক করে Create New Rules দিতে হবে।
১. অতিরিক্ত সকল কিছু কে বাদ দিনঃ
এমন অনেক সফটওয়ার উইন্ডোজ এর সাথে ইন্সটল হয়ে থাকে যা হয়তো আপনার কখনই কাজে লাগবে না। আবার এমনও কিছু সফটওয়ার থেকে যায় যা আপনি হয়ত কখনও ইন্সটল করেছিলেন, আর প্রয়োজন নেই। এমন সব প্রোগ্রাম গুলো আনইন্সটল করুন Control Panel -> Program and Features থেকে। আর উইন্ডোজ এর অপ্রয়োজনীয় Features বন্ধ করতে পারবেন Control Panel -> Program and Features -> Turn Windows Features On or OFF থেকে।
২. স্টাটআপ এর ভার কমানঃ
অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম উইন্ডোজ বুটিং এর সময় লোড হয়, যারা মুল্যবান র্যাম এবং প্রসেসিং ক্ষমতা নস্ট করে। স্টাটআপ থেকে এদের সরিয়ে দিলে মুল্যাবান বুটিং সময় কমবে। Start বাটনের Search এ গিয়ে টাইপ করুন MSCONFIG এবং রান করুন। System Configuration এর Startup ট্যাব থেকে অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ডিজেবলড করে দিন।
তবে আপনার হার্ডওয়ার অথবা সিকিউরিটি সম্পর্কিত Item গুলো ডিজেবল করবেন না। অচেনা কিছু থাকলে আইটেম এর নাম ধরে ইন্টারনেট এ অনুসন্ধান করে দেখতে পারেন এটা আসলে কি।
৩. অতিরিক্ত র্যাম যোগ করুনঃ
যদিও উইন্ডোজ ভিসতা এর মত রিসোর্স হাঙ্গরি না সেভেন, তবুও আপনি যদি উইন্ডোজ এক্সপি থেকে সেভেন এ মাইগ্রেট করেন, অতিরিক্ত কিছু র্যাম যোগ করাটা উইন্ডোজ ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ যোগাবে।
৪. সার্চ ইন্ডেক্সিং বন্ধ করুনঃ
যদি আপনি আপনার কম্পিউটার এ অনেক নিয়মিত ফাইল ফোল্ডার খুজাখুজি করেন, তাহলে এটা একটা প্রয়োজনীয় টুল। কিন্তু যদি খুব নিয়মিত সার্চ করার দরকার না হয় সার্চ ইন্ডেক্সিং বন্ধ করে দিতে পারেন। আপনাকে যেতে হবে Control Panel -> Indexing Options, এখান থেকে যে যে লোকেশন গুলো Indexing হচ্ছে তা দেখে Remove করে দিতে হবে। আর Search Indexing সার্ভিস বন্ধ করতে হলে চলে যান Start -> Run -> Services.msc, এখানে Windows Search নামক সার্ভিসটির প্রপার্টিজ থেকে একে Disabled করে দিন।
৫. ডিফ্রাগ করুনঃ
উইন্ডোজ সেভেন এর নিজস্ব Disk Defragmenter নির্দিস্ট সময় পরপরে (Scheduled) ডিফ্রাগমেন্ট করে থাকে। কিন্তু যদি কম্পিউটার বন্ধ থাকে তবে এই Schedule কাজ করে না। তাই একে ঠিক করে এমন এক সময়ে দিন যাতে সে নির্দিস্ট সময় পরপরে চলতে পারে। অথবা Schedule বন্ধ করে মাঝে মাঝে ডিফ্রাগ চালালেও কাজ চলবে। Disk Defragmenter চালাতে বা এর কোনো সেটিংস পরিবর্ত্ন করতে চাইলে Start বাটনের Search এ গিয়ে Defragment লিখে Enter চাপুন।
৬. পাওয়ার সেটিংস পরিবর্তন করুনঃ
ডিফল্ট হিসাবে সেভেন এর পাওয়ার প্লান Balanced এ সেট করা থাকে। control Panel -> System and Security -> Power Options থেকে পাওয়ার প্লান High Performance এ সেট করে দিলে ভাল পারফরমেন্স পাবেন। তবে এই প্লান ব্যবহার করলে বিদ্যুত একটু বেশি খরচ হবে।
৭. ডিস্ক ক্লিন করুনঃ
Start বাটনের Search এ গিয়ে cleanup লিখে Enter চাপুন। Disk cleanup রান করলে ড্রাইভ নির্বাচন করে OK দিন। নির্বাচিত ড্রাইভ এর মুছে ফেলার জন্য নিরাপদ এমন ফাইল এর তথ্য দেখাবে। এগুলো নির্বাচন করে মুছে ফেলুন।
৮. ভাইরাস স্পাইওয়ার থেকে মুক্ত থাকুনঃ
ভাইরাস স্পাইওয়ার থেকে মুক্ত থাকতে উইন্ডোজ সেভেন এর Windows Defender ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া অন্য কোনো ভাল এন্টিভাইরাস বা এন্টিস্পাইওয়ার ও ব্যবহার করে দেখতে পারেন। তবে কখনই একসাথে একাধিক এন্টিভাইরাস বা এন্টিস্পাইওয়ার ব্যবহার করবেন না এবং এন্টিভাইরাস বা এন্টিস্পাইওয়ার কে সবসময় হালনাগাদ রাখবেন। ইন্টারনেট থেকে নামান কোনো ফাইল ছোট এবং সন্দেহজনক হলে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য www.virustotal.com এ আপলোড করে দেখে নিতে পারেন কোনো ভাইরাস আছে কি না।
৯.পারফরমেন্স ট্রাবলসুটার ব্যবহার করুনঃ
Control Panel -> System and Security -> Troubleshooting তে যান এবং Check Performance Issue রান করান। যদি পারফরমেন্স সংক্রান্ত কোনো ধরনের সমস্যা খুজে পায়, তবে তা উল্লেখ করবে এবং সমাধানের রাস্তা বলে দেবে।
১০. ডেক্সটপ ওয়ালপেপার বন্ধ করুনঃ
ডেক্সটপে ওয়ালপেপার এর বদলে সলিড কালার ব্যবহার করলে কিছু অতিরিক্ত র্যাম ফ্রি হবে এবং ডেক্সটপ পারফরমেন্স বারবে। ওয়ালপেপার পরিবর্তন করতে ডেক্সটপ এ ডান ক্লিক করে Personalize থেকে desktop Backgroud সিলেক্ট করে Solid Colors সিলেক্ট করুন।
১১. এ্যারো ইফেক্ট বন্ধ করুনঃ
Control Panel -> Performance Information and Tools -> Adjust Visual Effects রান করান। যদি কম্পিউটার এর পারফরমেন্স মূখ্য হয় আপনার কাছে, তবে সিলেক্ট করুন Adjust for best performance. আর যদি কাস্টোমাইজ করার ধৈর্য থাকে তবে ডেক্সটপ এর এ্যারো ইফেক্ট গুলকে দেখে দেখে পরিবর্তন করুন। সতর্কবানী- Adjust for best performance সিলেক্ট করলে Visualization এর দিক থেকে উইন্ডোজ ২০০০ এর সমান হয়ে যাবেন।
১২. টাস্কবার সরিয়ে নিনঃ
উইন্ডোজ ভিসতা এবং সেভেন এ টাস্কবার সরিয়ে নিয়ে যেকোনো পার্শ্বে রাখা যায়। টাস্কবারে ডান ক্লিক করে Lock the Taskbar তুলে দিন। তারপর টাস্কবারে ক্লিক করে ধরে ডেক্সটপের যেকোনো পার্শ্বে নিয়ে যান।
১৩. টাস্কবারে পিন করুনঃ
দ্রুত ব্যবহারের জন্যে প্রয়োজনীয় যেকোনো ফোল্ডার বা প্রোগ্রাম টাস্কবারে পিন করুন। পিন করতে ফোল্ডার বা প্রোগ্রামটি ধরে টাস্কবারের ফাকা যায়গায় এনে ছেড়ে দিন।
১৪. নোটিফিকেশন পরিবর্তন করুনঃ
যদি কম্পিউটারের সকল নোটিফিকেশন দেখতে চান, তবে control panel -> Notification Area Icons থেকে Always Show all icons and notifications on the taskbar সিলেক্ট করুন। আর অন্য কিছু চাইলে প্রোগ্রাম ধরে ধরে পরিবর্তন করে নিন।
১৫. টাস্কবারে সিস্টেম আইকন বন্ধ করুনঃ
টাস্কবারে সিস্টেম আইকন বন্ধ করতে Control panel -> Notification Area Icons -> Turn System Icons On or Off এ যান এবং চালু অথবা বন্ধ করুন আপনার যেটা যেটা পছন্দ। তবে আইকন বন্ধ করে দেয়া মানে কিন্ত প্রোগ্রাম বন্ধ করা নয়।
১৬. ইউজার একাউন্ট কন্ট্রোল পরিবর্তন করুনঃ
প্রতিবার কোনো সফটওয়্যার ইন্সটল করার সময় বা কোনো এডমিনিসট্রিটিভ কাজ করার সময় উইন্ডোজ সেভেন অনুমতি চায়। আপনি চাইলে এই নোটিফিকেশন বন্ধ করতে পারেন। Control panel -> User Accounts এ যান। আপনার user সিলেক্ট করুন। এখানে Change user account control settings এ ক্লিক করুন। পছন্দমত Notification Level নির্বাচন করুন।
১৭. ওয়ার্কগ্রুপ পরিবর্তন করুনঃ
উইন্ডোজ সেভেন এ ওয়ার্কগ্রুপ হিসাবে workgroup ডিফল্ট বসানো থাকে। আপনি যখন LAN এর মাধ্যমে Internet এ যুক্ত থাকেন, তখন একই ওয়ার্কগ্রুপে থাকা সব কম্পিউটার আপনার শেয়ার গুলো দেখতে পারবে। Control panel -> System Properties থেকে আপনি আপনার ওয়ার্কগ্রুপ পরিবর্তন করতে পারেন।
১৮. লাইব্রেরি সেট করুনঃ
লাইব্রেরি হচ্ছে একটি ফোল্ডার যেটি বিভিন্ন ফোল্ডার এর বস্তুগুলোকে বিষয় অনুযায়ী সাজিয়ে প্রদর্শন করে। কোনো ফোল্ডার লাইব্রেরিতে যুক্ত করতে চাইলে ফোল্ডার এ ডান ক্লিক করে Include in library সিলেক্ট করুন এবং ধরন ঠিক করে দিন কি ধরনের বিষয়বস্তু রয়েছে সেই ফোল্ডারে। বিষয়বস্তু ৪ ধরনের হতে পারে, ডকুমেন্ট, মিউজিক, পিকচার ও ভিডিও।
১৯. অটোপ্লে পরিবর্তন করুনঃ
যেকোনো ডিস্ক বা ড্রাইভ আপনার কম্পিউটারে যুক্ত হলেই উইন্ডোজ আপনাকে সেই ডিস্ক বা ড্রাইভ সম্পর্কিত বিভিন্ন action প্রদর্শন করে। আপনি এই আচরন নিয়ন্ত্রন করতে পারেন Control Panel -> Hardware and Sound -> AutoPlay থেকে। দ্রুত এই সেটিংস রান করান যাবে Start বাটনের Search এ গিয়ে AutoPlay লিখে Enter চাপলে।
২০. অ্যপ্লিকেশনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করুনঃ
আপনার কম্পিউটারে কোন অ্যপ্লিকেশন কোথা থেকে কিভাবে চলবে তা নিয়ন্ত্রন করতে পারেন উইন্ডোজ সেভেন এর AppLocker ফিচার ব্যবহার করে। AppLocker ব্যবহার করতে হলে আপনাকে যেতে হবে Local group Policy Editor এ (রান মেনু থেকে gpedit.msc লিখে Enter চাপুন)। Local group Policy Editor এ নেভিগেট করে AppLocker সিলেক্ট করুন (computer configuration -> Windows Settings -> Security Settings -> Application Control Policies -> AppLocker)। AppLocker থেকে আপনি Executable rule, windows installer rule এবং script rule থেকে আপনি আপনার rules গুলো সেট করে দিতে পারেন। Configure AppLocker থেকে rules গুলো একটিভ করতে হবে। নতুন rules তৈরি করার জন্য rules ফোল্ডার এ ফাকা জায়গায় ডান ক্লিক করে Create New Rules দিতে হবে।